উটকে কখন জীবন্ত সাপ খাওয়ানো হয়,আপনে যানেন কি?
পবিত্র আল কোরাআনের সুন্দর একটি রহস্য-
🔵➖বিষয় উট সাপ খায় কেন..?
🔮➖এ বিষয়ে কুরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে অত্যন্ত চমৎকার কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে-
🔮➖পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন জায়গায় প্রাণী জগতের বর্ণনা এসেছে। শুধু তাই নয় পবিত্র কোরআনে কয়েকটি সুরার নামও রাখা হয়েছে পশু পাখির নামে।
💠➖যেমন সুরা বাক্কারা অর্থাৎ গাভি গরু,
💠➖সুরা আনআম অর্থাৎ চতুষ্পদ জন্তু,
💠➖সুরা নহল অর্থাৎ মধুমক্ষি বা মৌমাছি,
💠➖সুরা নমল অর্থাৎ পিপড়া,
💠➖সুরা আনকাবুত অর্থাৎ মাকড়সা,
💠➖সুরা ফিল অর্থাৎ হাতি।

🔮➖এদের নামে পবিত্র কুরআনে আলাদা সুরা-ই রয়েছে। তেমনি ভাবে সুরা ইউসুফে উটের আলোচনা আছে।
🔮➖উট এমন এক প্রাণী যেটির বৈশিষ্ট অন্যান্য প্রাণী থেকে একটু ভিন্ন ও উদ্ভুত। পবিত্র কোরানে উটের একটি রোগের আলোচনা আছে, যে রোগ হলে উট একদম খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়।
🔮➖মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উট শুধু সুর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞগন উটের এ রোগের ব্যপারে গবেষনা করে কোন উৎস বা কারন ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
🔮➖আর এ রোগের নাম হলো হায়াম
🔮➖অনেকে আবার এ বিষয়ে না জেনেই উটের উপর নানা ধরনের জুলুম করা শুরু করে দেয়। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা উটের হায়াম নামক এ রোগের শেফা রেখেছে পবিত্র কুরআনে….! এর মহাঔষধ হচ্ছে একটি জীবিত সাপ খাইয়ে দেওয়া….!
🔮➖অনেক সময় সে নিজে নিজেও তা খেয়ে থাকে। উটটি যখন সাপটিকে গিলে ফেলে এ অবস্থায় প্রচন্ড তৃষ্ণা বাড়তে থাকে এবং ৮ ঘন্টা এ অবস্থায় থাকে। আর তখন উটের চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
🔮➖উটের চোখ থেকে যে পানি বের হতে থাকে তা খুবই মূল্যবান পানি। কেননা এ পানি অন্য পানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
🔮➖এ চোখের পানিকে তিরয়াক বলা হয়।
🔮➖আর তিরয়াক এমন এক মহাঔষধ যা কিনা যে কোন প্রাণীর বিষকে নষ্ট করার জন্য উপযোগী। মূল্যবান তিরয়াক অনেক কষ্টে তৈরী করা সম্ভব এবং ব্যেয়বহুল।
🔮➖সে তিরয়াকই হচ্ছে উটের সেই চোখের পানি। যা বিষক্রিয়া নষ্ট করার চিকিৎসায় কার্যকরী। এ চোখের পানিকে ছোট চামড়ার থলেতে সংরক্ষন করে রাখা যায়।
🔮➖উটের পিপাসার এ রোগটিকে কোরানে মাজিদে জাহান্নামীদের শাস্তির সাথে তুলনা করে বয়ান করা হয়েছে যার অর্থ কিছুটা এমন (অতঃপর তার উপর গরম পানি টগবগ করতে থাকবে আর পানকারী পিপাষায় উটের মত সে পানি পান করবে)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন
لَآكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ
তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,
➖[সুরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫২ ]
فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,
➖[সুরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৩ ]
فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ
অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।
➖[সুরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৪ ]
فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ
পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।
➖[সুরা ওয়াক্বিয়া ৫৬:৫৫ ]
🔮➖উট সাপের বিষে পানি পান করতে থাকে আর জাহান্নামীরা টগবগ করে সিদ্ধ হতে থাকা পানি পান করতে থাকবে।
🔮➖সে পানি এতই গরম যা তাদের মুখের সামনে আনার সাথে সাথে তাদের চেহেরার গোস্ত গলে পড়বে। তবুও তারা এক শ্বাসে সে পানি পান করবে আর তা তাদের পেটের সব আতুরি কেটে পিছনের রাস্তায় বের হয়ে যাবে।
🔮➖একবার ভেবে দেখুন..? পিপাসিত উটের ন্যায় তারা পানি পান করবে এক শ্বাসে।
🔮➖কুরআনের এই কথা বা এই তথ্য আগে কি আপনারা জানতেন..? জানতেন না…!
🔮➖আর এ জন্যই আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এক শ্বাসে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।
🔮➖তিনি এরশাদ করেন উটের মত এক শ্বাসে পানি পান করিও না, বরং তিন শ্বাসে তা তুমরা পান করো..!
🔮➖অর্থাৎ নবী (সাঃ) আমাদের এই জন্য এক শ্বাসে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন,কারন ইহা দোযখ বাসিদের আলামত তাই..।
🔮➖হে_আল্লাহ, আমাদের সকল কে ক্ষমা করুন এবং কুরআন ও হাদীস সঠিকভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন।
💐➖আমীন..!➖💐