লকডাউনের মধ্যেই আনসারীর জানাযায় লাখো মানুষ
পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই লকডাউনের মধ্যেই লাখো মানুষ যোগ দিয়েছেন আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী নামাজে জানাযায়।
শনিবার সকাল ১০টায় তার প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসায় এই স্মরনকালের এই বিশাল নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে করোনা থেকে পরিত্রানের পাশাপাশি মাওলানা জুবায়ের আহমদ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিশেষ দোয়া করেন মাওলানা সাজিদুর রহমান।
মাদ্রাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাযার সারি দীর্ঘ হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিস্তির্ণ এলাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান এবং জেলার শীর্ষ আলেমরা ছাড়াও মাদ্রাসা ছাত্র এবং সাধারন মানুষ যোগ দেন।
জানাযার নামাজে ইমামতি করেন জুবায়ের আহমেদ আনসারীর ছেলে হাফেজ মাওলানা আসাদ উল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে জানাযায় যোগ দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর ইসমাইল নূরপুরী, মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মহসিনুল হাসান, জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ, সাধারন সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত এই আলেম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশের আলেম উলামাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জুবায়ের আহমদ আনসারীর বাড়ি জেলার নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে। এদিকে, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরুত্ব মানার কথা থাকলেও বড় ধরনের জামাত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলছে।