শুরু হয়ে গেলো সম্ভাবনাময় “লাইলাতুল কদরের রাত”
শুরু হয়ে গেলো সম্ভাবনাময় লাইলাতুল কদরের রাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে একবার রমাদানের বৃষ্টিভেজা ২১ তম রাতে লাইলাতুল ক্বদর হয়েছিলো।

আবু সা‘ঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে রমাদানের মধ্য দশকে ইতিকাফ করি। তিনি বিশ তারিখ সকালে বের হয়ে আমাদের সম্বোধন করে বলেন, ‘‘আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছিলো; পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে তার সন্ধান করো। আমি দেখতে পেয়েছি যে, আমি (ঐ রাতে ) কাদা-পানিতে সিজদা করছি। অতএব, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর সঙ্গে ইতিকাফ করেছে সে যেন ফিরে আসে।’’ আমরা সবাই ফিরে আসলাম।। আমরা আকাশে হালকা মেঘ খণ্ডও দেখতে পাইনি। (২১ তারিখ রাতের) পরে এমনভাবে মেঘ দেখা দিলো ও জোরে বৃষ্টি হলো যে, খেজুরের শাখায় তৈরি মসজিদের ছাদ দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো। সালাত শুরু করা হলে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাদা-পানিতে সিজদা করতে দেখলাম।। পরে তাঁর কপালে আমি কাদার চিহ্ন দেখতে পাই।’ [সহিহ বুখারি: ১৮৮৯]
মুহাদ্দিসগণ অনেকেই এই হাদিস থেকে ব্যাখ্যা করেছেন যে, সে বছর কদর হয়েছিলো ২১ তম রাতে। মুফতী আমীমুল ইহসান (রাহ.) সংকলিত, ড. আবদুল্লাহ্ জাহাঙ্গীর (রাহ.) অনূদিত ফিকহুস সুনান গ্রন্থে (১/৪৮০) এই বিষয়টি টীকায় উল্লেখিত হয়েছে।
তাছাড়া সালাফদের অনেকেই ২১ তারিখকে কদরের রাত মনে করতেন। ইমাম ইবনু হাজার (রাহ.) তাঁর ফাতহুল বারিতে এটি উল্লেখ করেছেন।
অতএব, আজ রাতে বেশি করে নফল নামাজ, তাহাজ্জুদের নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকর, ইস্তিগফার, দু‘আ ও দরুদ পাঠে কাটানো উচিত।
Source : OHEE – ওহী